নিম পাতার ব্যবহার এবং উপকারিতা
পোস্ট সূচি পত্রঃ নিম পাতার ব্যবহার এবং উপকারিতা
- নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা
- চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
- খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
- চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার
- এলার্জি নিরাময়ে নিম পাতার ব্যবহার
- ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
- রোগ প্রতিরোধে নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা
- নিম পাতার বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা
- রোগ নিরাময়ে নিম পাতা
- ত্বকের সৌন্দর্যে নিম পাতার ব্যবহার
- খুশকি দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার
- লেখকের শেষ মন্তব্য
নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা
নিম পাতা আমাদের শরীরের জীবানু, ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে। রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এজন্য এটা আমাদের যথারীতি তে খাওয়া প্রয়োজন, নিম পাতা অনেক উপায়ে খাওয়া সম্ভব। নিম পাতা বিভিন্ন রোগ যেমন চর্মরোগ,আবার ডায়াবেটিস নিরাময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যাই
নিম পাতার মধ্যে নানান এন্টি ইনফেকটিভ এজেন্ট আছে যেগুলো শরীরের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া কে মারতে সাহায্য করে। এর মধ্যে নানান এন্টি বায়োটিক -এন্টিসেপটিক উপাদান আছে। যার ফলে নিম পাতার গরম পানি দিয়ে কেউ যদি গসল করে তার জন্য খুবই ফুল হবে হেল্পফুল হবে। এজন্য নিম পাতার ব্যবহার আমাদের জন্য খুবই উপকারী ভূমিকা রাখে।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
চুলকানির সমস্যা তে নিম পাতা খুব ভালো কাজ করে। নিম পাতায় এন্টিবায়োটিক এবং এন্ট্রি ফাংগাল উপাদান থাকাই চুলকানি থেকে মুক্তি দিবে। গরমের সময় এলার্জি সমস্যা বৃদ্ধি পায় এ সময় আপনি নিম পাতার ফুটানো পানি ঠান্ডা করে গোসলের সময় ব্যবহার করতে পারেন।এটি চুলকানি বা এলার্জির সমস্যা খুব দ্রুত সেরে ফেলে।
বর্তমানে এলার্জির সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এ সংক্রমণ জটিল রোগ দেখা দিচ্ছে। এগুলো সমস্যা দূর করতে আপনার সকালে রুটিনে নিম পাতার জুস খেতে পারেন এটি সেবন করলে আপনার পেট পরিষ্কার থাকবে।আবার চর্মরোগ এর সমস্যাও দূর হবে।
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে আমাদের রক্ত পরিস্কার হবে আর রক্ত পরিস্কার হলে আমাদের মুখের ব্রণ,মাথার চুল এবং হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। এটি খালি পেটে আপনি এটার জুস করে খেতে পারেন,এর পাতা গুলো শুকিয়ে গুঁড়ো করে পানির মিশ্রণে খেতে পারেন।
এক থেকে দুই মাস খালি পেটে নিম পাতা বা এর রস খেলে মুখের সব ব্রণ দূর হয়ে যাবে। চুল পড়াও বন্ধ হবে। এটাকে আপনি নিজে বাসায় তৈরি করতে পারেন। টাটকা নিম পাতা গাছ থেকে পেড়ে, সুন্দর করে রোদে শুকিয়ে বিলিন্ডার মেশিন এ পেস্ট করে প্রতিদিন সকালে এটির জুস বানিয়ে সেবন করতে পারবেন।
চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার
এলার্জি নিরাময়ে নিম পাতার ব্যবহার
এলার্জি নিরাময়ে নিম পাতার উপকারিতা অনেক। বর্তমান সময়ে এলার্জি বা চুলকানির সমস্যা বহু গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে ।মানুেষর রক্তে এলার্জির সমস্যা হচ্ছে। এতে চুলকানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিম পাতার গুরুত্ব অনেক। কারন নিম পাতা সেবনে রক্তের সাথে যেই এলার্জি মিসে থাকে তা একেবারে বের করে দেই এবং চুলকানির সমস্যা দূর হয়ে যাই।
নিম পাতা খাওর পদ্ধতি যদি রক্তের সাথে এলার্জি মিসে থাকে তাহলে প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানিতে নিম পাতার পাউডার বা নিম পাতার রসের সাথে পরিমান মত লেবুর রস মিশিয়ে কম পক্ষে এক মাস পান করুন। এর ফলে আপনার দেহের এলার্জি দ্রুত সেরে যাবে।
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
ব্রণ দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার নিম পাতার মধ্যে ১৩০ টি ওষুধই গুন রয়েছে। এর জাদুকরি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য বহু উপকারি। নিম পাতার রস এর ফল এবং এর ছাল সবই মানুষের বিভিন্ন ওষুধই গুনে কাজে লাগে। এটির ব্যবহার প্রাই ৫ হাজার বছর ধরে চলে আসছে এবং নানান রোগ ব্যাধি সারতেও ভাল কাজ করে।
আরও পরুনঃ মরিঙ্গা পাউডার এর উপকারিতা
মানুষের মুখের ব্রণ দূর করতে এটা বেশ কার্যকারী ভুমিকা রাখে। কিছু নিম পাতা পেস্ট করে ব্রণে অথবা পুরো মুখে ভাল ভাবে রাখলে অনেক টা উপকার পাওয়া যাই। এর মধ্যে যদি কাচা হলদি মিক্সট করতে পারেন তাহলে বেশ ভাল কাজ করে। এ ভাবে যত দিন না ব্রণ ভাল হচ্ছে ততদিন ব্যবহার করলে মুখের যেকোনো ধরনের ফুসকুড়ি,ডার্ক স্পট এবং দীর্ঘমেয়াদি ঘা দূর করে দেই।
রোগ প্রতিরোধে নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধে নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা অনেক এর মধ্যে নানান ওষুধই গুন থাকার কারনে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই। আমরা যদি প্রতিদিন সকালে নিম পাতা খাঅয়ার অভ্যাস করি তাহলে বিভিন্ন রোগ থেকে আমরা মুক্তি পাবো। এক গ্লাস পানির মধ্যে কিছু নিম পাতার পাউডার মিক্সট করে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহু গুনে বৃদ্ধি পাবে।
রক্ত পরিস্কার হবে এবং রক্তের সাথে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও এলার্জির সমস্যা দূর করবে। লিভারের কার্যক্ষমতা বেরে জাবে। তকের সুন্দরজ বৃদ্ধি করে। ডাইবেটিস নিরাময়ে বড় ভুমিকা রাখে। নানান রকম বহু রোগ নিরাময়ে নিম পাতার ওষুধই গুন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ ভুমিকা রাখে।
নিম পাতার বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা
নিম পাতা গুরুত্ব অপরিসিম এর গুনাগুন মানুষের দেহের রোগ কে সাড়িয়ে তুলে। বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে এটি সহায়ক। আপনার দৈনন্দিন জীবনে নিমপাতা যোগ করুন এর প্রাকৃতিক উপায় আপনার শরীরকে সুস্থ রাখুন নিয়মিত নিমপাতা ব্যবহার করে অসাধারণ উপকারিতা আপনি খুব দ্রুত অনুভব করবেন এটি প্রাকৃতিক ওষুধের গুনে ভরা। ফলে খুব দ্রুত করে আপনার শরীরকে সুস্থ সবল রাখুন।
বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে এই গাছগুলো বেশি দেখার যায় ঔষুধি গুন মানুষ কে নানা রকম ভাবে সহায়তা করেছে। এটি আমাদের শরীরের এলার্জি,একজিমা, ফোড়া, মাথার খুশকি এবং হাঁটু ব্যথায় অনেক কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিম পাতার ব্যবহার বাড়াতে হবে যাতে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং আমরা সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে পারি।
রোগ নিরাময়ে নিম পাতা
আমরা অনেকেই জানি নিমপাতা আমাদের শরীরের নানা রোগ ব্যাকটেরিয়া এগুলো থেকে সুরক্ষা দেয়। আমরা যদি সঠিকভাবে নিম পাতার ব্যবহার করতে পারি এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এটি খাদ্য তালিকায় এবং যথারীতিভাবে ব্যবহার করতে পারি। বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে এটি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে কফ জনিত বুকের ব্যথা দূর করতে নিম পাতার বিকল্প আর কিছুই নেই।
দ্বিতীয়তঃ জন্ডিসের ভালো ওষুধ হিসেবে নিম পাতা খুবই কার্যকর। শুধু নিম পাতা নয়
এর ফুল ফল এবং গাছের ছালের মধ্যেও অনেক পুষ্টির গুনাগুন রয়েছে এগুলো আমাদের
শরীরে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া কে দূর করে শরীরকে সুস্থ সচল রাখতে সহায়তা করে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চর্মরোগে নিম পাতা বেশি ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুনঃ ফলমূল খাওয়ার উপকারিতা
ত্বকের সৌন্দর্যে নিম পাতার ব্যবহার
আমরা অনেকেই আমাদের ত্বকে নানান রকম ক্রিম ব্যবহার করে থাকি. এর ফলে অনেক সময় অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখার দেয়। আবার মুখে ব্রণ ও ডার্ক স্পট দেখা দেয়। এ সকল সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় এই নিমপাতা কে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে আমাদের ত্বককে সুন্দর ও ময়েশ্চারাইজ করতে পারি। এটি আমাদের ত্বকের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করে দেয়।
এটি প্রয়োগের সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হলো নিমপাতা ভালো হবে পেস্ট করে এর সাথে
কাঁচা হলদি এক চা চামচ দুধ ভালো ভাবে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে ১ থেকে
২মাস এর মধ্যে এটি আমাদের ত্বকের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলবে এবং সকল ডার্ক স্পট ও
ব্রণ দূর করে দিবে।
খুশকি দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার
শীত মৌসুমে আমাদের অনেকের মাথায় খুশকি দেখা দেয়। এই খুশকি দূর করতে নিমপাতার ব্যবহার অপরিসীম। নিম পাতার ব্যবহারে আপনার চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় নানাভাবে এটি কাজ করে যেমন চুল পড়া কমানো উকুন দূর করে চুলের গোরা মজবুত করা এবং খুশকি দূর করা।
প্রতিদিন গোসলের আগে নিমপাতা কে ভালোভাবে গরম পানিতে ফুটিয়ে মাথায়
শ্যাম্পু করার পরে এই ফোটানো পানিকে ঠান্ডা করে মাথা মেসেজ করতে হবে সেই পানি
দিয়ে। নিয়মিত এটি ব্যবহার করতে পারলে ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে আপনার মাথার খুশকি
দূর হয়ে যাবে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি নিম পাতার ব্যবহার এবং এর উপকারিতা এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে আমার মতামত হলো প্রতিদিনের রুটিনে নিমপাতা ব্যবহার অপরিসীম। সকল প্রকার রোগ ব্যাধি থেকে এটি আমাদের সুরক্ষার দেয়।
এজন্য এটিকে আমাদের খাদ্য তালিকাও রাখতে হবে। এটি আমাদের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে। আমাদের শরীরের জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বাংলা অনলাইন টিপস নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url