ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং কিভাবে সেটআপ করবেন
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং কিভাবে সেটআপ করবেন। ২০২৫ সালে কিভাবে ফাইবার অ্যাকাউন্ট খুলবেন এবং সেটআপ করবেন সেটা নিয়ে আজকের বিস্তারিত ব্লগ আশা করি আজকের ব্লগটি পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন।
বর্তমানে ফাইবার থেকে লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন রকমের কাজ করে টাকা উপার্জন করেছে। আপনি চাইলে ফাইবারে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নানান রকম কাজ করে যেমন ভিডিও এডিটিং গ্রাফিক্স ডিজাইন বা বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে আপনি ঘরে বসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং কিভাবে সেটআপ করবেন
- ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং কিভাবে সেটআপ করবেন
- ফাইবার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানুন
- ফাইবারে কি কি কাজ করতে পারবেন
- ফাইবার ওয়েবসাইটে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- ফাইবারে গিগ কিভাবে তৈরি করবেন
- ফাইবারে কিভাবে কাজ পাবেন
- ফাইবারে কি ভাবে প্রথম অর্ডার পাবেন
- গিগে প্রফেসনাল ইমেজ বা ভিডিও ব্যবহার
- ফাইবারে বায়ার কে কিভাবে ইম্প্রেস করবেন
- লেখকের শেষ বক্তব্য
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং কিভাবে সেটআপ করবেন
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম কিভাবে ফাইবার অ্যাকাউন্ট সেটআপ করবেন এবং দ্রুত গিগ পাওয়া সম্ভব সে বিষয়ে আমরা আজকে জানব।
- ফাইবারে একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে যেতে হবে সেখানে গিয়ে fiverr.com লিখে সার্চ দিবেন।
- ওয়েবসাইটে আসার পরে দুটি অপশন দেখা যাবে একটি জয়েন আরেকটি সাইন আপনি সাইনআপ এ ক্লিক করবেন তাহলে আপনার সামনে কিছু অপসন আসবে যেমন Continue with google, Continue with email/username, Apple, Facebook, আমরা যেহেতু প্রফেসনাল একাউন্ট খুলবো এজন্য continue with email/username এখানে ক্লিক করবো।
- এখানে ক্লিক করার পরে দুইটি অপশন আসবে ইমেল এবং পাসওয়ার্ড তারপরে আপনার ব্যবহিত ইমেল এবং একটি মজবুত পাসওয়ার্ড দিতে হবে। দিয়ে Continue অথবা next অপশন এ ক্লিক করুন।
- তারপরে ইউজার নেম এর অপশন আসবে। সেখানে গিয়ে একটি ইউজার নেম ক্রিয়েট করবেন এবং ক্রিয়েট মাই একাউন্ট এ ক্লিক করবেন।
- আপনার যেই ইমেল দিয়ে সাইন আপ করেছেন সেখানে একটা ওটিপি কোড আসবে। জিমেল এ গিয়ে সেই ওটিপি কোড টা কপি করে বাঁ দেখে দেখে আপনার ওই ওটিপি ঘরে বসিয়ে সাবমিট অপশন এ ক্লিক করুন।
- এর পরে দুটি অপশন আসবে Buying freelance service এবং selling freelance service যেহেতু আমরা কাজ করবো এজন্য selling freelance service দিয়ে নেক্সট করে দিব।
- এর পরে আবার জিজ্ঞাসা করবে আপনি কি ধরনের ফ্রিলান্সার সেখানে আপনি solo freelancer দুই নাম্বারটি সিলেক্ট করে নেক্সট করে দিবেন এ ছারাও আরও অপশন আছে সেগুলো আপনি আপনার মত সিলেক্ট করবেন।
- শেষ অপশন এ জিজ্ঞাসা করবে আপনি কি ধরনের ফ্রিলান্সার সেটা সিলেক্ট করবেন। যেমন অনলাইন ফ্রিলান্সার, অফলাইন ফ্রিলান্সার, এখন শুরু করছি বা অনলাইন অফলাইন দুইটাই যেটা আপনার পছন্দ সেটা সিলেক্ট করবেন এর ফিনিস দিয়ে দিবেন।
- আরও একটি ফরম আসবে সেখানে complete your seller profile এ ক্লিক করবেন। এর পরে নতুন একটি ট্যাব আসবে সেখানে আপনি Continue করে দিবেন সব গুলোয়।
- এর পরে নতুন আরও একটি ইন্টারফেস আসবে সেখানে আপনার সব পারসনাল ডিটেলস দিতে হবে এবং আবার Continue এ ক্লিক করতে হবে। এগুলো করলে আমাদের ৫০ পারসেন্ট একাউন্ট ক্রিয়েট করা হয়ে যাবে।
- এর পরে আমরা কি কাজে এক্সপারট সেগুলো সিলেক্ট করতে হবে ৫ টার মত সিলেক্ট করতে পারবেন। এগুলো বাদে যদি অন্য কাজ পারেন তাহলে Add new গেলে আরও অপশন পাবেন সেটা সিলেক্ট করবেন।
- তার পরে আপনার কাজ এর স্কিল সম্পর্কে যেগুলো জানেন সেগুলো দিবেন দিয়ে Add এ ক্লিক করবেন।
- এর পরে একটু নিচে আসলে দেখতে পাবেন Education অপশন আসবে সেগুলো সিলেক্ট করবেন আপনার দেশ কথাই পরাশনা করেছেন সেগুলো দিবেন। এর পরে আবার Add ক্লিক করবেন।
- পরের স্টেপে আপনার সারটিফিকেট এবং ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক দিতে হবে। দিয়ে আবার Continue এ ক্লিক করবেন।
- প্রাই ৮০ পারসেন্ট হয়ে গেছে এখন লাস্ট অপশন এ আপনার ফোন নাম্বের টা লিখে দিবেন। এবং এসএমেস এর অপশন এ ক্লিক করলে একটি কোড দিবেন সেটা কপি করে ওটিপি ঘরে বসাবেন দিয়ে সাবমিট কোড এ ক্লিক করলে ভেরিফেকেসন ওকে দেখাবে,ওকে করবেন।
- এর পরে Add সিকিউরিটি question অপশন আসবে সেখানে আপনার নামে দিবেন এবং ফিনিস অপশন এ ক্লিক করবেন দিয়ে নিছে আসে Continue ক্লিক করলে কমপ্লিট হয়ে যাবে। এগুলো পদ্ধতি অবলম্বন করে ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং কিভাবে সেটআপ করবেন এ সমন্ধে জানতে পারবেন।
ফাইবার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানুন
ফাইবার ওয়েবসাইট হচ্ছে একটি অনলাইন প্লাটফর্ম এখানে আপনি চাইলে মাসে লক্ষ্যেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন বর্তমান সময়ে ফাইবারের ওয়েবসাইটের মত আরো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি অনায়াসে টাকা উপার্জন করতে পারবেন এই ফাইবার ওয়েবসাইট থেকে আপনি বিভিন্ন কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সুধু আপনার দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে খুব সহজে এই অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ফাইবারে কি কি কাজ করতে পারবেন
ফাইবার এ কাজ করতে হলে আগে জানতে হবে ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং কিভাবে সেটআপ দাওয়া যাই সে সম্পর্কে। ফাইবারে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসে হাজার হাজার কাজ নিয়ে এবং হাজার হাজার মানুষ আসে কাজ করতে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লোগো ডিজাইন এর কাজ, ওয়েব ডিজাইন এর কাজ, আর্টিকেল লেখালেখি করার কাজ, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং,এবং আরও রয়েছে SEO এর কাজ।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট এর কাজ,ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন এর কাজ গ্রাফিক ডিজাইন এবং ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ। এই ফাইবার ওয়েবসাইট এ এগুলো কাজ করতে পারলে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব। এই ফাইবার অনলাইন প্লাটফর্ম এ আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো কাজ করে মাসে একটা ভালো ইনকাম করা সম্ভব। সঠিক ভাবে ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং কিভাবে সেটআপ করবেন সে সম্পর্কে ভালো ভাবে জানবেন।
ফাইবার ওয়েবসাইটে কোন কাজের চাহিদা বেশি
ফাইবার ওয়েবসাইটে বেশ কিছু কাজ রয়েছে যেটা থেকে ভালো টাকা উপার্জন করা যায়। এগুলোর মধ্যে যে কোন একটি স্কিল যদি আপনি ব্যবহার করে কাজ করতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ভালো টাকা ইনকাম করা সম্ভব।চলুন জানা যাক সে বিষয়গুলোঃ
- ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবচেয়ে বেশি কাজের চাহিদা হল ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে। এর আবার অনেকগুলো ভাগ রয়েছে যেমন SEO, কনটেন্ট মেকিং আবার এফিলেট মার্কেটিং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং পিপিসি (PAY PER CLICK) এগুলো বাদেও আরো কিছু সাব ক্যাটাগরি আছে।
- ভিডিও এডিটিংঃ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজের চাহিদা হচ্ছে ভিডিও এডিটিং কারণ অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর আছে যারা সময়ের অভাবে ভিডিও এডিট করতে পারে না। এজন্য তারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ভিডিও এডিটরদের খুঁজে এবং তাদের সেই কন্টেন্ট গুলো এডিট করে নেয়। এবং আপনি চাইলে ভিডিও এডিটিং করে নিজের কনটেন্ট বানাতে পারেন। ভিডিও এডিটিং ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে খুব চাহিদা রয়েছে আপনি চাইলে ভিডিও এডিটিং শিখে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন।
- গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ এই গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আছে থাকবে এবং ভবিষ্যতেও এর চাহিদা থাকবে। অনেকে মনে করে AI আসার পরে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ তেমন পাওয়া যাবে না কিন্তু AI সব ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পারে না যা একজন গ্রাফিক্স ডিজাইন সহজেই তা তৈরি করতে পারে এজন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা আগামী ১০ থেকে ১৫ বছর থাকবে আশা করা যায়। আপনি গ্রাফিক ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন।
-
ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে
খুব বেশি আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ভালোভাবে শিখে কাজ করতে পারেন তাহলে
সবচেয়ে বেশি আর্নিং করতে পারবেন এই কাজের মাধ্যমে ওয়েব ডেভেলপমেন্টে বেশিরভাগ
বড় বড় কাজ পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদাও
ক্রমাগতভাবে বাড়ছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এটা থেকেও আপনি একটি ভালো পরিমাণ
টাকা উপার্জন করতে পারবেন
-
ডাটা এন্ট্রিঃ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। ডাটা
এন্ট্রি কাজের ও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর জুড়ে ভালো চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি
এই সহজ কাজটা শিখে ফাইবার আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে
পারেন তাহলে এখান থেকেও ভালো একটা আরনিং সোর্স বের হবে।
ফাইবারে গিগ কিভাবে তৈরি করবেন
ফাইবারে গিফট তৈরি করার প্রধান শর্ত হচ্ছে আপনাকে খুব মনোযোগ সহকারে অন্যের গিগ পোস্ট দেখতে হবে। যাতে করে আপনি বুঝতে পারেন যে একটি গিগ পোস্টে কি কি লিখতে হবে এবং কেমন ক্যাটাগরির গিগ তৈরি করতে হবে। তাহলে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন কেমন গিগ তৈরি করলে তারাতারি অর্ডার পাবেন। কোন গিগ থেকে আপনি কারও টেক্সট কপি করতে পারবেন না। গিগ পোস্ট এ সব কিছু আপনাকে ্নিজে থেকে সুন্দর করে লিখে পোস্ট করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ফাইবারে বায়ার কে কিভাবে ইম্প্রেস করবেন
দ্বিতীয়ত আপনাকে আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে হবে যে আপনি কোন কাজে বেশি দক্ষ এবং সঠিকভাবে করতে পারবেন। আপনি যেই কাজের ওপর অভিজ্ঞ সেই কাজ সম্পর্কে আপনাকে খুব সুন্দর করে টাইটেল ডেসক্রিপশন এগুলো ফিলাপ করতে হবে। যাতে করে বোঝা যায় যে আপনি একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার। এ সম্পর্কিত জ্ঞান আপনি তখনই নিতে পারবেন যখন আপনি অন্য কারো গিগ পোস্ট দেখবেন এবং সেখান থেকে অভিজ্ঞতা নিবেন সে কি কি সম্পর্কে লিখেছে সে কি কি সম্পর্কে অভিজ্ঞ এগুলো দেখে আপনি খুব সুন্দর ভাবে গিগ পোস্ট তৈরি করতে পারবেন।
ফাইবারে কিভাবে কাজ পাবেন
ভাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার কিছু বিশেষ টিপ রয়েছে এগুলো আপনি ফলো করলে ফাইবার মার্কেটপ্লেস থেকে ভালো পরিমাণে কাজের অর্ডার পাবেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ
- প্রথমত আপনাকে প্রফেশনাল সেলার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে যাতে করে বোঝা যায় যে আপনি ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ দক্ষ ফ্রিল্যান্সার।
-
আপনাকে সঠিক গিগ টাইটেল ও ডেসক্রিপশন বক্স সুন্দর করে সাজাতে হবে কারণ আপনার
দিক টাইটেলের ডিসক্রিপশন দেখে অনেক সেলার আপনাকে কাজ দিবে।
-
আপনার গিগ পোস্টে আকর্ষণীয় ইমেজ রাখতে হবে। এগুলো যদি আপনি সঠিক ভাবে
পোস্ট করে রাখেন তাহলে ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার চান্স বেড়ে যাবে
-
সঠিক কিওয়ার্ড ডেসক্রিপশনা ও ট্যাগ লিস্টে যোগ করতে হবে। সঠিক কিওয়ার্ড
ব্যবহার করে আপনি আপনার গিগ পোস্ট ফাইবার র্যাঙ্কে রাখতে পারবেন।
-
আপনি চাইলে আপনার গিগ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রমোট করতে পারেন এটার
মাধ্যমে আপনি ফাইবার মার্কেটপ্লেস থেকে ভালো পরিমাণে কাজের অর্ডার পেতে
পারেন।
-
শুধু এগুলো সব ঠিকঠাক করে রাখলে হবে না আপনাকে ফাইবার ওয়েবসাইটের সময় দিতে
হবে এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে যাতে আপনি সেখানে একটিভ থাকেন। সেটা দেখে
সেলার আপনাকে কাজের অর্ডার দিতে।
ফাইবারে কি ভাবে প্রথম অর্ডার পাবেন
ফাইবারে অর্ডার পেতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার গিগ টাকে রেঙ্কে আনতে হবে। আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট কি ওয়ার্ড বেছে নিতে হবে যেগুলো ফাইবার ওয়েসাইট সার্চ রেজাল্ট এ কম থাকে এবং সেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার গিগ পোস্ট কে রেঙ্কিং এ আনতে সক্ষম হবেন। কারন আপনি যদি আপনার গিগ পোস্ট কে রেঙ্কিং না রাখতে পারেন তাহলে সহজে আপনি কোন অর্ডার পাবেন না। এজন্য আপনি যেগুলো কি ওয়ার্ড সার্চ রেজাল্ট এ কম থাকবে সেগুলো আপনার গিগ পোস্ট এ ব্যবহার করবেন।
আপনি যদি ফাইবার থেকে ভালো পরিমাণে অর্ডার পেতে চান তাহলে অবশ্যয় ফাইভার সার্চ লিস্ট এ যেই গিগ গুলো থাকবে তার মধ্যে যারা কোন স্টার পাইনি কিন্তু রেঙ্কিং এ আছে তাদের কে ফলো করবেন তাদের মত করে গিগ পোস্ট সাজাবেন তারা যেই ভাবে তাদের গিগ কে উপস্থাপন করে সেই ভাবে আপনাকেও সুন্দর করে আপনার গিগ পোস্ট রেডি করতে হবে।
আপনাকে বেশির ভাগ সময় ফাইবার একাউন্ট এ থাকতে হবে। কারন ফাইবার ওয়েবসাইট এ আপনি যত অনলাইন এ থাকবেন তারা আপনার গিগ পোস্ট কে তত রেঙ্কিং এ নিয়ে যাবে এতে করে আপনি খুব সহজে ফাইবার ওয়েবসাইট থেকে ভালো পরিমাণে অর্ডার পেতে পারেন। একজন নতুন সেলার এর জন্য অনলাইন এ থাকা সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সুধু ফাইবার এ গিগ দিয়ে আপনি অর্ডার পাবেন তা কিন্তু না আপনাকে আপনার গিগ কে মার্কেটিং করতে হবে। সোশাল মিডিয়াই মার্কেটিং করার জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে লিঙ্কডিং, ফেসবুক ও ইন্সট্রাগ্রাম। লিঙ্কডিং এ আপনি যেই বিষয় নিয়ে কাজ করবেন সেই বিষয় নিয়ে সুন্দর করে প্রোফাইল সাজাতে হবে।আপনার কাজের স্কিল নিয়ে প্রতিদিন পোস্ট করতে হবে আপনার সার্ভিস অনুযায়ী তেমন লোক জন এড করবেন এবং সেখানে আপনার গিগ পোস্ট এর লিঙ্ক কে প্রমট করলে সেখানে থেকে অর্ডার আসার চান্স থাকে।
আরও পড়ুনঃ ফাইবারে গিগ কিভাবে তৈরি করবেন
ফেসবুক বা ইন্সট্রাগ্রাম এর মাধমেও আপনি আপনার গিগ পোস্ট কে প্রমট করতে পারেন। আপনি যদি ফেসবুক বা ইন্সট্রাগ্রাম এ বিজনেস একাউন্ট ক্রিয়েট করেন এবং সেখানে বাইরের দেশের ফলোয়ার ফেসবুক বুস্ট এর মাধ্যমে আনতে পারেন এবং সেখানে আপনার কাজের স্কিল এর ভিডিও বা ইমেজ আপলোড করেন প্রতিনিয়ত এবং সেখানে আপনার গিগ এর লিঙ্ক দেন তাহলে দুই একটা কাজের অর্ডার পেতে পারেন।
গিগে প্রফেসনাল ইমেজ বা ভিডিও ব্যবহার
আমাদের গিগ এ প্রফেশনাল ইমেজ বা ভিডিওর ব্যবহার খুবি গুরুত্বপূর্ণ কারন ইমেজ বা ভিডিওর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট বুঝতে পারবে আপনার স্কিল কেমন। এই প্রফেশনাল ইমেজ বা ভিডিওর মাধমে আপনার গিগ আকর্ষণীয়ও হয়ে উঠবে। এবং সেই গিগ এ অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা বেরে যাই। এজন্য আমাদের গিগে প্রফেশনাল ইমেজ বা ভিডিও ব্যবহার করা উচিত, যার ফলে ক্লায়ন্ট আপনার দক্ষতা সম্পর্কে জেনে আপনাকে কাজের অর্ডার দিবে।
এজন্য সবসময় আমাদের করণীয় হচ্ছে আমাদের গিগে প্রফেশনাল ইমেজ বা ভিডিও ব্যবহার করা।ফাইবারে আমাদের গিগ আকর্ষণীয়ও করে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। তাই বলা যাই গিগে প্রফেশনাল ইমেজ বা ভিডিও আমাদের গিগ কে আকর্ষণীয় করে তুলে ও ফাইবার মার্কেটপ্লেসে অর্ডার পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
ফাইবারে বায়ার কে কিভাবে ইম্প্রেস করবেন
আপনি যদি নতুন ফ্রিলান্সার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে একজন বায়ার কে কিভাবে ইমপ্রেস করা যেতে পারে কারণ আপনি যদি তাকে ইমপ্রেস করতে পারেন তাহলে সে আপনাকে রেটিং স্টার দিবে যার ফলে আপনার গিগ এর ইমপ্রেশন বাড়বে এবং ফাইবার আপনার গিগ কে রেংকিং এ নিয়ে যাবে। তাই বায়ার কে ইমপ্রেস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যেই বায়ার এর কাছ থেকে কাজের অর্ডার নিবেন যত দ্রুত সম্ভব সেই কাজ কে ডেলিভারি দিবেন এতে করে সে খুশি হবে এবং পরবর্তীতেও কাজের অর্ডার দিতে পারে। আপনার প্রোফাইল এর সঠিক টাইটেল এবং সুন্দর করে প্রফাইল এর বিবরণ দিতে হবে। যেন মনে হয় আপনার গিগ প্রফেশনাল কোন বায়ার দেখে তা বুঝতে পারে। এগুলো অবলম্বন করলে আশা করি আপনি বায়ার কে ইম্প্রেস করতে পারবেন।
বাংলা অনলাইন টিপস নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url