ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ নাকি কম্পিউটার কোনটা ভালো
Bangla Online Tips.com
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ নাকি কম্পিউটার কোনটা ভালো এই বিষয় গুলো আমাদের
জানা খুবই প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আগ্রহী হচ্ছে।
অনেকেই আবার ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপ ক্রয় করতে চাচ্ছে।
কিন্তু বুঝতে পারছে না ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ ভালো হবে নাকি কম্পিউটার
ভালো হবে। অনেকেই এমন দিধাদন্দে পরে যাচ্ছে এজন্য আজকে আমরা আপনাদের জানাবো কোনটা
আপনার জন্য ভালো হবে।
পোস্ট সুচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ নাকি কম্পিউটার কোনটা
ভালো
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ নাকি কম্পিউটার কোনটা ভালো
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোনটা ভালো এই প্রশ্নে বলা যেতে পারে আপনি কি ধরনের কাজ
করবেন। আপনি যদি একজন ভ্রমনপ্রিয় মানুষ হয়ে থাকে, আপনাকে সব সময় ট্রাভেল করা লাগে
তাহলে আপনার জন্য ল্যাপটপ বেস্ট চয়েস হতে পারে। ল্যাপটপ হচ্ছে ট্রাভেলের জন্য
ভালো, আপনি যেকোনো জাইগায় গিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারবেন। ল্যাপটপে একবার
চার্জ দিয়ে আপনি ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেনল। এজন্য আপনি
যদি বিভিন্ন জাইগায় ভ্রমন করে থাকেন এবং ভাবছেন ফ্রিল্যান্সিং করা শুরু করবেন
তাহলে ল্যাপটপ আপনার জন্য পারফেক্ট।
এদিকে কম্পিউটারে আপনি বাসাই বসে থেকে কাজ করতে পারবেন। কথাও নিয়ে যাওয়ার
অপশন নেই। আপনি যদি বাসায় বসে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, দীর্ঘসময় ধরে আপনার কাজ
করা লাগে তাহলে কম্পিউটার আপনার জন্য বেষ্ট। কারন কম্পিউটারের সুবিধা হচ্ছে
ল্যাপটপ এর থেকে বেশি পারফর্মেন্স ভালো দেই, ও আপনি অনেক ভারি ভারি কাজ কম্পিউটার
দিয়ে সম্পাদন করতে পারবেন। যারা বাসায় বসে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই তারা বেশির ভাগ
ক্ষেত্রে কম্পিউটার ক্রয় করে থাকে। আপনি যদি বাসায় বসে কাজ করতে চান তাহলে
কম্পিউটার আপনার জন্য সেরা।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ভালো ল্যাপটপ
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ভালো ল্যাপটপ বাছাই এর ক্ষেত্রে আপনাকে আগে বুঝতে হবে
আপনি কি ধরনের কাজ করবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নানান রকম কাজ পাওয়া যায় এর মধ্যে
আপনি কোনটা করবেন। আপনি যদি এখন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করেন তাহলে আপনাকে
নুন্যতম i5-8 জেনারেশন এর ল্যাপটপ নিতে হবে। আপনার স্টরেজ কেমন প্রয়োজন সেই হিসেব
করে (SSD) অবশ্যয় নিতে হবে এবং নুন্যতম ৮ জিবি র্যাম থাকা লাগবে। এটা দিয়ে
আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করতে পারেন।
আপনি যখন প্রফেসনাল লেভেলের কাজ করবেন। তখন আপনাকে i5 বা i7-10th জেনারেশনের
অপরে ল্যাপটপ নিতে হবে। (SSD) আপনার স্টরেজ যেমন লাগবে সেই অনুযায়ী নিবেন। আর তখন ৮ জিবির পরিবর্তে
আপনাকে ১৬ জিবি র্যাম নিতে হবে তাহলে আপনি প্রফেসনাল লেভেলের কাজ খুব সহজেই করতে
পারবেন। বর্তমানে অনেক কম দামে ভালো ভালো ইউজ ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে
এইখানে ক্লিক
করে পরতে পারেন। এজন্য বলা যেতে পারে আপনার কাজের দক্ষতা অনুযায়ী আপনাকে ল্যাপটপ
ক্রয় করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন পিসি ভালো
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য একটু ভালো মানের পিসি প্রয়োজন হয়। আপনি আপনার কাজ
অনুযায়ী সেগুলো আলাদা আলাদা করে বাছাই করতে পারেন। তবে আপনি যদি প্রফেসনাল
লেভেলের কাজ করেন যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং বা অনলাইন মারকেটপ্লেসে
কাজ করেন তাহলে আপনাকে (INTEL) অথবা (RYZEN) প্রসেসর দিয়ে পিসি সেটাপ করতে হবে।
পিসির ক্ষেত্রে আপনাকে ভালো প্রসেসর নিতে হবে যেমন i5 - 12th জেনারেশন এবং RYZEN
এর ক্ষেত্রে RYZEN 5- 3400G প্রসেসর পাওয়া যায় এটাও খুবই ভালো, অথবা RYZEN 5-
5600G প্রসেসর দিয়ে পিসি সেটাপ করলে খুবই ভালো হবে।
আর আপনি যদি মনে করেন আমি এখন ফ্রিল্যান্সিং শিখব, তাহলে আপনি মোটামোটি কাজ করার
জন্য ইন্টেলের i5- 6 জেনারেশন প্রসেসর দিয়ে পিসি বানাতে পারেন। এই কনফিগার দিয়ে
আপনি কাজ শিখতে পারবেন। আপনি যখন প্রপারলি কাজ শিখে যাবেন তখন এই কনফিগারকে
মডিফাই করতে পারবেন, এটাকে আরও আপডেট করে তখন প্রফেসনাল লেভেলের কাজ গুলো করতে
পারবেন। তাই আপনার কাজ এবং বাজেট এর অপর নির্ভর করে পিসি বানাতে পারেন, তবে কাজ
শেখার জন্য কম কনফিগারের পিসি দিয়ে শুরু করা ভালো।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কয়টি বিষয় জানা দরকার
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেক গুলো বিষয় সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। আপনি যদি
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন তাহলে আপনাকে একটি ভালো কাজের দক্ষতা অর্জন করতে হবে
যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা ভিডিও এডিটিং অথবা আর্টিকেল রাইটিং অথবা ডিজিটাল
মার্কেটিং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি এগুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং এগুলো কাজ শিখতে
হবে। আপনি যদি এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বিষয়ে পারদর্শী হয়ে যান তাহলে আপনি খুব
সহজে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রত্যেক মাসে ভালো একটি এমাউন্ট ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
গুলোর পাশাপাশি আপনার প্রয়োজন নিজস্ব কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ, ভালো ইন্টারনেট
সংযোগ ও নিজের প্রতি নিজের আত্মনির্ভরশীল। বর্তমানে অনেক ইউটুবার রয়েছে যারা এই
ফ্রিল্যান্সিং সমন্ধে নানা রকম তথ্য দিয়ে থাকে আপনি চাইলে সেগুলো দেখে ধারনা নিতে
পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর সব চেয়ে বড় সেক্টর হলো অনলাইনে মার্কেটপ্লেস, এখানে যদি
আপনি কাজ করতে পারেন তাহলে আপনার ক্যারিয়ার এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে
পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোনটি বেশি প্রয়োজন হয়
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে আপনার কাজের দক্ষতা।
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি সেক্টর এখানে আপনি কাজ না জানলে কোন কিছুই করতে পারবেন
না। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে হাজার হাজার মানুষ ইনভল্ব হচ্ছে।
অনেকেই মনে করে যে এত কম্পিটিশনের মধ্যে আমি কিভাবে কাজ পাবো, আপনি যদি আপানার
দক্ষতাকে বাড়াতে পারেন তাহলে এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ভালো একটি পজিসনে যেতে
পারবেন। এবং এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকেই মাসে লক্ষাধিক টাকাও ইনকাম করা সম্ভব।
তাই বর্তমান সময়ে আপনি কোন কাজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে
যুক্ত হতে পারেন। এখন বর্তমান সময়ের সাথে মিলে আমাদের কে এই ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরে কাজের দক্ষতা বাড়াতে হবে। আপনি অপরে যেকোনো একটি কাজের অপর পারদর্শী হতে
পারলে ফাইবার, আপওয়ার্ক এর মত মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন। এখানে লক্ষ্য
লক্ষ্য মানুষ রয়েছে, এর মধ্যে অনেক মানুষ তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এই
মার্কেটপ্লেসে কাজ করছে। তাই আপনি একটি কাজের অপর দক্ষ হয়ে এই ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরে নিজের জায়গা করে নিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ ও এর ভবিষ্যৎ কি
ফ্রিল্যান্সিং এর নানা কাজ রয়েছে, আপনি সেই কাজ গুলো সম্পাদন করে যেই টাকা আয়
করবে সেটাই ফ্রিল্যান্সিং। অনেকে হয়তো মনে করে থাকে ফ্রিল্যান্সিং মানে টাকা আর
টাকা বিষয়টা এমন না এখানে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আপনাকে কোন কাজের অপর
পারদর্শী হতে হবে তাহলে আপনি এই সেক্টর থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে
হ্যাঁ এই ফ্রিল্যান্সিং করেও মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব যদি আপনি কাজের
অপর পারদর্শী হয়ে থাকেন। আপনাকে এই কাজ গুলো বুঝতে হবে ও নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি
করতে হবে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা দিন দিন অনেক বেড়ে চলেছে। তথ্য ও প্রযুক্তির
যুগ হওয়ায় সব বয়সের মানুষ এই সেক্টরে ইনভল্ব হচ্ছে। এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের
ভবিষ্যৎ আরও উন্নতির দিকে যাবে, কারন সব বয়সের মানুষের মধ্যে এই ফ্রিল্যান্সিং
করার আগ্রহ বেরেই চলেছে। অনেকেই এই ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গরে
তুলছে। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি সেক্টর আপনি এখানে সময় এবং মেধা প্রয়গ করলে ভালো
পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। তাই ভবিষ্যতে এই ফ্রিল্যান্সিং এর
চাহিদাও বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে।
সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের অনেক গুলো সেক্টর রয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় যেই কাজ
রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবো। এই কাজ গুলো মধ্যে যেকোনো একটি বিষয়ে পারদর্শী
হলে আপনি এই সেক্টর থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং
ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
গ্রাফিক্স ডিজাইন
ডাটা এন্ট্রি
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
কন্টেন্ট রাইটিং
ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংএর সব চেয়ে বড়
সেক্টর। এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে অনেক গুলো বিষয় নিয়ে কাজ শেখা যায়। আপনি
যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখেন তাহলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এই একটার
মধ্যে নানান রকম কাজ শিখতে পারবেন। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর
অনেক চাহিদা রয়েছে। ওয়েব ডিজাইন হলো কোন ওয়েব সাইটের নকসা করা কে বুঝাই। একটি
ওয়েবসাইট এর ডিজাইন কেমন হবে সেটা কিভাবে উপস্থাপন করা হবে সেই সকল কাজ করা
কেই ওয়েব ডিজাইনার বলে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইনারদের প্রচুর চাহিদা
রয়েছে।
আবার ওয়েব সাইটের ভেতরের কাজ করে থাকে ওয়েব ডেভেলপার যেমন কোন কিছুতে লগইন
করা বা কোন ফর্ম সাবমিট করা, এই কাজ গুলো প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে একজম ওয়েব
ডেভেলপার করে থাকে। বর্তমান সময়ে ফাইভার,আপওয়ার্ক এর মত আরও মার্কেটপ্লেস আছে যেগুলোতে এই ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি এই স্কিল যদি অর্জন করতে পারেন তাহলে
এই ফ্রিল্যান্সিং করে আপনার ক্যারিয়ার পরিবর্তন হয় যেতে পারে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে বিভিন্ন ব্যানার ডিজাইন, লোগো
ডিজাইন, ভিজিটিং কার্ড বানানো এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে আপনি যদি গ্রাফিক্স
ডিজাইন শিখতে চান তাহলে আপনাকে বিভিন্ন এডিটিং সফটওয়ার সম্পর্কে জানতে হবে এবং
সেগুলো ব্যবহার শিখতে হবে। আপনি এই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এই কাজ গুলোর অনেক ডিমান্ড
রয়েছে।
ডাটা এন্ট্রিঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতের সব চেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি, আবার এটির চাহিদাও
অনেক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে। ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে কোন কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে কোন সফটওয়ারের মাধ্যমে লেখা বা
ইনপুট করা কে বোঝাই। আপনি এই সহজ কাজটি শিখে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিতে
পারবেন তবে এই কাজ সবচেয়ে সহজ হওয়ায় এটার কম্পিটিশন অনেক তাই কাজ পেতে সময়
লাগতে পারে। তবে আপনি ধৈর্য ধরে এই কাজটি বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে নিতে পারলে ভালো টাকা
ইনকাম করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হচ্ছে কোন ক্লায়েনটের
ফেসবুক, ইউটিউব বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার কাজ করে দেয়া। অনেক ক্লায়েন্ট রয়েছে
যারা সময়ের জন্য এগুলোতে সময় দিতে পারে না। তাই তারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ফ্রিল্যান্সারদের সাথে কথা বলে সেই কাজগুলো পরিচালনার জন্য টাকা দিয়ে থাকে।
তখন তারা সেই ক্লায়েনটের সোশ্যাল মিডিয়ার মার্কেটিং করে দেই এর সাথে ভিডিও
এডিটিং, বা সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত মার্কেট পাওয়ার জন্য টিপস দিয়ে
থাকে।
কন্টেন্ট রাইটিংঃ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনেকে কন্টেন্ট রাইটিং কে বেছে নেই। অনেকেই আছে যে তারা
লেখালেখি করতে পছন্দ করে তাই তারা এই কন্টেন্ট রাইটিং বেছে নেই। ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য এটিও অনেক বড় একটি ভুমিকা কন্টেন্ট রাইটিং। অনলাইন
মার্কেটপ্লেসে এই কাজের ডিমান্ড রয়েছে অনেক। আপনি যদি ইংলিশে পারদর্শী হন তবে
এই কন্টেন্ট রাইটিং কে বেছে নিতে পারেন কারন বাইরের দেশে এগুলোর চাহিদা অনেক।
ইংলিশ কন্টেন্ট লিখতে পারলে এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে আপনি এই কাজ করেও ব্যাপক টাকা ইনকাম করতে সক্ষম
হবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কি ও কেন ফ্রিল্যান্সিং করবেন
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে বর্তমানে ডিজিটাল আয়ের উৎস। আপনি বাসাই বসে থেকে এই কাজ করতে
পারবেন। বর্তমান সময় কে কাজে লাগিয়ে অনেক মানুষ এই ফ্রিল্যান্সিং করছে এবং ডলার
আয় করছে। এই কাজ গুলো আপনি ফাইবার, আপওয়ার্ক, আরও বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে
যেই গুলো প্লাটফর্মে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। আপনি বাসায় বসে থেকে বিদেশি
ক্লায়েন্টের কাজ করতে দিতে পারবেন। আপনি যেই কাজে দক্ষ হবে সেই কাজ গুলো করে ভালো
পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কেন করা প্রয়োজন কারন ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি ঘরে বসেই বিপুল পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই কাজ
গুলো আপনি নিজের মত করে স্বাধীন ভাবে করতে পারবেন, ফ্রিল্যান্সিং যদি একবার শিখে যান তাহলে এইখান থেকে আপনি নিজের ক্যারিয়ার গরে
তুলতে পারবেন। আপনাকে কারো আন্ডারে কাজ করা লাগবে না আপনি আপনার মন মত কাজ
কমপ্লিট করতে পারবেন। তবে বিদেশি ক্লায়েন্ট আপনাকে একটা নির্দিষ্ট সময় দিবে অয়
সময়ে আপনাকে কাজ ডেলিভারি করতে হবে। তাই আপনি এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কে বেছে নিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি
ফ্রিল্যান্সিং করা অনেক সুবিধা রয়েছে। আপনি মনে করে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনার
ক্যারিয়ার গরবেন তাহলে আপনাকে এখানে সময় দিয়ে কাজ শিখতে হবে। এখন অনেকেই
ফ্রিল্যান্সিং এর কোর্স করিয়ে থাকে চাইলে আপনি তাদের কাছ থেকে কাজ শিখতে পারেন।
তবে হ্যাঁ যেইখানে কোর্স করবেন তাদের বিষয়ে আগে ভালো ভাবে জেনে নিবে তারা কি
আপনাকে কাজে শিখিয়ে কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে নাকি। ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনি আপনার মত করে কাজ করতে পারবেন। যেকোনো জাইগায় বসে কাজ
করতে পারবেন। নিজের স্বাধীনতা ভাবে কাজ করতে পারবেন।
এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি আপনার স্কিল এর অপর ভিত্তি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি আপনার ইচ্ছা মত যেকোনো কাজ বাছাই করতে পারেন। আপনার যখন যেই কাজ ভালো লাগবে সেটা তখন করতে পারবেন। এখন সব বয়সি মানুষ বাসাই বসে থেকে ফ্রিল্যান্সিং করছে ও বিপুল পরিমাণে টাকাও ইনকাম করছে। আপনি যেই কাজের অপর দক্ষ হবেন সেটা নিয়ে কাজ শুরু করুন এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকেই আপনি আপনার ক্যারিয়ার কে সাজিয়ে নিতে পারবেন ঘরে বসেই। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি কাজ যেখানে আপনি স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেন নিজের ঘরে বসেই।
পরিশেষেঃফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ নাকি কম্পিউটার কোনটা ভালো
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ নাকি কম্পিউটার কোনটা ভালো হবে এটা নিয়ে
ইতিপূর্বে আমরা আলোচনা করেছি। আশা করি অপরে লেখা গুলো পরে বুঝতে পেরেছেন
যে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ নাকি কম্পিউটার কোনটা ভালো হবে। আপনি
যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে আপনার কাজ এবং স্থান পরিবর্তনের অপর
নির্ভর করে নিতে হবে। আপনি যদি ট্রাভেল করেন তাহলে ল্যাপটপ নিতে পারেন আর যদি
বাসায় বসে থেকে কাজ করতে চান তাহলে কম্পিউটার আপনার জন্য সেরা চয়েস হবে।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ নাকি কম্পিউটার
কোনটা ভালো হবে। আপনি এগুলো কেনার আগে অবশ্যয় যাচায় বাছাই করে নিবেন। এতক্ষন
আমাদের আর্টিকেলটি পরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম নিয়মিত আর্টিকেল পেতে আমাদের
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন প্রতিদিন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ।
বাংলা অনলাইন টিপস নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url