উইন্ডোস ১০ ভালো নাকি উইন্ডোস ১১ ভালো - কোনটা সেরা
আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর জন্য কোন উইন্ডোস সব চেয়ে ভালো এবং আপনার ডিভাইস খুবই স্মুথলি চলবে। আপনার জন্য এই বিষয়ে নিয়ে আজকে আলোচনা করবো। আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর জন্য কোন উইন্ডোস সব চেয়ে ভালো এবং আপনার ডিভাইস খুবই স্মুথলি চলবে।
পেজ সূচিপত্রঃ উইন্ডোস ১০ ভালো নাকি উইন্ডোস ১১ ভালো
- উইন্ডোস ১০ ভালো নাকি উইন্ডোস ১১ ভালো
- সর্বশেষ উইন্ডোজ ভার্সন কোনটি
- উইন্ডোজ ১১ এর অসুবিধা
- উইন্ডোজ ১০ এর সুবিধা কি কি
- উইন্ডোজ ৭ এর থেকে উইন্ডোজ ১০ ভালো হবে কি
- উইন্ডোজ ১০ এর সার্ভিস চার্জ কত
- উইন্ডোস ১০ অটো আপডেট বন্ধ করার নিয়ম
- পুরনো ল্যাপটপ বা পিসিতে উইন্ডোজ ১১ চলবে
- কতদিন পর পর উইন্ডোজ দিতে হয়
- লেখকের শেষ বক্তব্য
উইন্ডোস ১০ ভালো নাকি উইন্ডোস ১১ ভালো
বর্তমানে উইন্ডোজ ১১ আসার পরে অনেকেই উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করতে চাচ্ছে না কারণ উইন্ডোজ ১১ তে অনেক ফিচার আপডেট করেছে এজন্য উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করতে অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দ্ব করছে। তাই আজকে আমরা উইন্ডোজ ১০ ভালো নাকি উইন্ডোজ ১১ ভালো এই বিষয় নিয়ে আপনাদের দ্বিধা দ্বন্দ্ব দূর করে দিব। আপনি যদি বর্তমানে সময়ের আপডেট পিসি বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু উইন্ডোজ ১১ নতুন হওয়ায় এটি সম্পূর্ণভাবে লঞ্চ হয়নি।
আরও পড়ুনঃ কম্পিউটারের জন্য ভালো এন্টিভাইরাস কোনটি
উইন্ডোজ ১১ মধ্যে অনেক বাগ রয়েছে। মাইক্রোসফট কোম্পানি এখনো এটার ফুল ভার্সন লঞ্চ করেনি। যার ফলে অনেক সময় উইন্ডোজ বাগ হওয়ার কারণে কাজ করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে এদিক দিয়ে উইন্ডোজ ১০ অনেক প্রপারলি কাজ করে থাকে। তাই অনেকে উইন্ডোজ ১১ আসার পরেও উইন্ডোস ১০ ব্যবহার করে থাকে। উইন্ডোজ ১১ তে কিছু ফিচার বেশি হওয়াই অনেকেই এটার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। কিন্তু উইন্ডোজ ১১ বার্গ হওয়ার কারণে অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
সর্বশেষ উইন্ডোজ ভার্সন কোনটি
উইন্ডোজ ১১ এর অসুবিধা
উইন্ডোজ ১১ তে অনেক রকম সমস্যা রয়েছে। এজন্য অনেকেই এই উইন্ডোজ এখনো ব্যবহার করে না। মাইক্রোসফট কোম্পানি এখনো এটার সম্পূর্ণ ভার্সন লঞ্চ করেনি যার ফলে এই উইন্ডোজে অনেক বাগ রয়েছে। উইন্ডোজ ১১ তে বেশি ফিচার আপডেট করা হয়েছে যেগুলো কম কনফিগারের ল্যাপটপ বা পিসি রয়েছে সেগুলোতে এই উইন্ডোজ নিতে ঝামেলা সৃষ্টি করে। আবার অনেক পুরাতন সফটওয়্যার এই উইন্ডোজ ১১ তে ইন্সটল হতে সমস্যা করে। কিছু কিছু গেম এর ক্ষেত্রেও এই উইন্ডোজ ১১ অনেক সময় ঝামেলা সৃষ্টি করে ইন্সটল হতে চাই না।
এটার হার্ডওয়ার আপডেট হওয়ার কারনে অনেক পুরনো ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে উইন্ডোজ ১১ ইন্সটল করা সম্ভব হয় না। আবার উইন্ডোজ ১০ থেকে অনেক ফিচার আলাদা হওয়ায় প্রথম অবস্থাই বুঝে ওঠা যায় না কোন সেটিং কোথাই রয়েছে। উইন্ডোজ ১১ বাগ হওয়ায় অনেক সময় ল্যাপটপ বা পিসি HANG বা SLOW হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনি উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখিন হতে পারেন এবং আপনার কাজের ব্যাঘাতও ঘটতে পারে।
প্রথমে ব্যবহারে উইন্ডোজ ১১ আপানার জন্য কিছু বাধার সম্মুখিন হতে পারেন। মাইক্রোসফট এর কোম্পানি এগুলো ফিচার এর সমস্যার সমাধান না করা পর্যন্ত আপনি এই উইন্ডোজ ব্যবহার করে কোন প্রকার ভালো পারফর্মেন্স পাবেন না। উইন্ডোজ ১০ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ফিচারের এই উইন্ডোজ। ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রে আবার ব্যাটারির পারফর্মেন্স কমিয়ে ব্যাটারির চার্জ ব্যাকআপ কমিয়ে দেই। তাই বলা যেতে পারে উইন্ডোজ ১১ এখন সম্পূর্ণ না আসার কারনে এটির ব্যবহার এখনও অনেক কম মানুষ করে থাকে।
উইন্ডোজ ১০ এর সুবিধা কি কি
উইন্ডোজ ১০ অনেক ক্ষেত্রেই উইন্ডোজ ১১ থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। কারন উইন্ডোজ ১০ এ রয়েছে কম কনফিগারে উইন্ডোজ সেটআপ ধারন ক্ষমতা। আবার এই উইন্ডোস খুব সহজে ইন্সটল হয়ে থাকে। আপনার কম কনফিগারের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে উইন্ডোজ সেটআপ হয়ে থাকে। মাইক্রোসফট কোম্পানি এটি প্রতিনিয়ত আপডেট করে। এটার ফিচার সুবিধাও অনেক ভালো। সহজে এর সেটিং বোঝা যায়। যা উইন্ডোজ ১১ তে অনেকটা কঠিন।
বর্তমানে মানুষ উইন্ডোজ ১০ টা বেশি ব্যবহার করছে কারন এটির প্রতিনিয়ত আপডেট হয়, এবং খুব স্মুথলি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে RUN করে। উইন্ডোজ ১০ এর অনেক গুলো ভার্সন রয়েছে তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি ব্যবহিত হয় উইন্ডোজ ১০ PRO। এই উইন্ডোজে কোন প্রকার বাগ নেই যার ফলে কোন হার্ডওয়ার সমস্যা বা কোন সফটওয়ার সমস্যা দেখা যাই না। মাইক্রোসফট কোম্পানি ২০২৫ এর শেষের দিকে অফিসিয়ালি উইন্ডোজ ১০ বন্ধ করে দিবে। আশা করা যাই তত দিনে উইন্ডোজ ১১ প্রপারলি ভার্সন লঞ্চ করে দিবে।
উইন্ডোজ ৭ এর থেকে উইন্ডোজ ১০ ভালো হবে কি
বর্তমান জেনারেশন আপডেট হওয়ার কারণে অনেক কিছুতেই পরিবর্তন ঘটেছে যার ফলে আমাদের ব্যবহৃত সফটওয়্যার অনেক পরিবর্তন এসেছে যেমন উইন্ডোজ। আমাদের অনেক কাজ যেগুলো আমরা আমাদের ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ দিয়ে করে থাকি। এই জন্য আমাদের প্রয়োজন প্রপারলি কাজ করে এমন সফটওয়ার। বর্তমান সময় আপডেট হওয়ার কারনে পুরনো সফটওয়ার এ অনেক কাজ করা সম্ভব হয় না। উইন্ডোজ ৭ অনেক পুরনো সফটওয়ার হয়ে গিয়েছে যার ফলে সব রকম আপডেট কাজ সেটা দিয়ে করা সম্ভব না।
আরও পড়ুনঃ ফ্রিলান্সিং করার জন্য কেমন কম্পিউটার প্রয়োজন
এজন্য সময়ের সাথে আমাদের সফটওয়ার কেও কিছুটা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। উইন্ডোজ ৭ গ্লোবালি মাইক্রোসফট কোম্পানি বন্ধ করে দিয়েছে। তাই এই উইন্ডোজে এখন আপডেট কোন কাজ করা সম্ভব নয়। এটার পরিবর্তে উইন্ডোজ ১০ অনেক আপডেট এটাতে প্রায় সব রকম কাজ করা যেতে পারে। তাই এই উইন্ডোজ ১০ আপনার কাজের জন্য পারফেক্ট হতে পারে। তাই বলা যেতে পারে বর্তমান সময়ে উইন্ডোজ ৭ এর থেকে উইন্ডোজ ১০ ভালো হবে।
উইন্ডোজ ১০ এর সার্ভিস চার্জ কত
আপনি যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যয় আপনাকে জানতে হবে সাধারণত আমরা যেই উইন্ডোজ গুলো দিয়ে থাকি সেগুলোতে কত টাকা খরচ হতে পারে। আমরা যেই উইন্ডোজ গুলো ব্যবহার করে থাকি এগুলো হচ্ছে পাইরেসি উইন্ডোজ যা আমাদের টাকা দিয়ে কিনতে হয়না। এটি মূলত পাইরেসি উইন্ডোজ হওয়ার কারনে খুব অল্প টাকাই ইন্সটল করে নেয়া যায়। বর্তমানে যারা কম্পিউটার মেরামত করে থাকে তাদের কাছে গেলে এই উইন্ডোজ ইন্সটল করে দিতে পারে।
সার্ভিস চার্জ ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে নিতে পারে। উইন্ডোজ ইন্সটল করে যেগুলো প্রয়োজনীয় সফটওয়ার থাকে সেগুলো ইন্সটল করে দিয়ে এই চার্জ আপনার কাছ থেকে নিতে পারে। আপনি চাইলে কোন পেন্ড্রাইভ বুট করে নিয়ে বাসায় নিজে নিজেও দিতে পারেন। তবে হ্যাঁ কোন পারদর্শী লোকের কাছ থেকে উইন্ডোজ সেটআপ দেয়াটা ভালো হবে। কারন উইন্ডোজ দিতে কোন সমস্যার সম্মুখিন হলে সেটা তারা সমাধান করে দিতে পারে।
উইন্ডোস ১০ অটো আপডেট বন্ধ করার নিয়ম
পুরনো ল্যাপটপ বা পিসিতে উইন্ডোজ ১১ চলবে
পুরনো ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে উইন্ডোজ ১১ চলবে কি না এটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদণ্ডে পরে যায়। বর্তমানে উইন্ডোজ ১১ অনেক আপডেট হওয়ার কারনে পুরনো কনফিগারের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে সহজে ইন্সটল হতে চাইনা। কারন উইন্ডোজ ১১ আপডেট হওয়াই এটার প্রসেসর, র্যাম এর ধারন ক্ষমতা বেশি প্রয়োজন। প্রসেসর, র্যাম বেশি কনফিগারের না হলে ইন্সটল নিতে চায় না এবং হলেও অনেক সময় নিয়ে থাকে। এজন্য উইন্ডোজ ১১ জন্য বর্তমানের আপডেট পিসি বা ল্যাপটপ গুলো ঠিক আছে।
আরও পড়ুনঃ সর্বনিম্ন কিবোর্ড মাউস কত দাম থেকে শুরু
যদি উইন্ডোজ ১১ কোন ভাবে কম কনফিগারের পিসি বা ল্যাপটপে ইন্সটল হয়ে যায়। পরবর্তীতে এটা পিসি বা ল্যাপটপ কে অনেক SLOW করে দিতে পারে। যার ফলে আপনাকে উইন্ডোজ চেঞ্জ করতে হতে পারে। তাই কম কনফিগারের পিসি বা ল্যাপটপ এ উইন্ডোজ ১১ না ব্যবহার করায় ভালো। তার অপর উইন্ডোজ ১১ এর সম্পূর্ণ ভার্সন লঞ্চ হয়নি এটার জন্য আরও বড় সমস্যা হতে পারে। কম কনফিগারের জন্য উইন্ডোজ ১০ সব চেয়ে ভালো হতে পারে।
কতদিন পর পর উইন্ডোজ দিতে হয়
লেখকের শেষ বক্তব্য
আমরা আজকের আলোচনায় বলেছি উইন্ডোস ১০ ভালো নাকি উইন্ডোস ১১ ভালো হবে। আশা করি আপনারা তা বুঝতে পেরেছেন। আমার ব্যক্তিগত ভাবে উইন্ডোজ ১০ বেশি ভালো লাগে। এটাই কোন বাগ নাই, সেটিং গুলো অনেক সহজ। এবং খুব স্মুথলি ব্যবহার করা যায়। আপনারা যদি উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার করতে চান তাহলে করবেন। কারন পরবর্তীতে এটার সব সমস্যার সমাধান করে দিবে মাইক্রোসফট কোম্পানি।
উইন্ডোস ১০ ভালো নাকি উইন্ডোস ১১ ভালো এই বিষয়ে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। আমি আশাবাদী আপনি আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পরে এই বিষয়ে সব তথ্য জানতে পেরেছেন। এমন নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
বাংলা অনলাইন টিপস নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url