কম্পিউটার বা ল্যাপটপের জন্য ভালো এন্টিভাইরাস কোনটি
কম্পিউটার বা ল্যাপটপের জন্য ভালো এন্টিভাইরাস কোনটি এটা আমাদের জানা খুব জরুরি। কারন ভাইরাসের কারনে আমাদের পিসি বা ল্যাপটপ এর যত ফাইল বা ডকুমেন্টস থাকে সেগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ জন্য আমাদের উচিত এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কম্পিউটার বা ল্যাপটপের জন্য ভালো এন্টিভাইরাস কোনটি
- কম্পিউটার বা ল্যাপটপের জন্য ভালো এন্টিভাইরাস কোনটি
- কোনটি সবচেয়ে ভালো এন্টিভাইরাস
- কোন এন্টিভাইরাস কম্পিটারের গতি কমায় না
- কিভাবে ল্যাপটপে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করবো
- এন্টিভাইরাস ব্যবহারের সুবিধা কি কি
- ফ্রি এন্টিভাইরাসের অসুবিধা কি কি
- কেন পেইড এন্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন
- একাধিক ডিভাইসে এন্টিভাইরাস ব্যবহারের নিয়ম
- এন্টিভাইরাস ব্যবহার না করলে কি হবে
- লেখকের শেষ বক্তব্য
কম্পিউটার বা ল্যাপটপের জন্য ভালো এন্টিভাইরাস কোনটি
বর্তমানে বেশ কিছু এন্টিভাইরাস রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ কে সুক্ষিত রাখতে পারবেন। আমাদের উচিত আমাদের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা। আমরা অনেক সময় বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে ল্যাপটপ বা পিসিতে পেন্ড্রাইভ ব্যবহার করে থাকি যার ফলে সেখান থেকে ভাইরাস ঢুকে আমাদের প্রয়োজনীয় ফাইল নষ্ট করে দিতে পারে। এজন্য এগুলো সমস্যা থেকে বাঁচতে আমাদের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী বা প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুনঃ ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা পিসি বিল্ড
আপনি যদি একজন নরমাল ইউজার হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার তেমন প্রয়োজন নয়। বর্তমান সময়ের আপডেট উইন্ডোজ যেমন উইন্ডোজ ১০ এবং উইন্ডোজ ১১ এগুলোতে ইনবিল্ট ভাইরাস প্রটেকশন দাওয়া থাকে। যারা প্রফেসনাল লেভেল এর কাজ করে থাকেন যেমন গেমিং করা বা অনলাইন ভিত্তিক কোন কাজ করা তাদের জন্য প্রয়োজন এই এন্টিভারাস। কারন তারা বিভিন্ন রকম সফটওয়ার ব্যবহার করে থাকে যার ফলে অনেক সময় সেই সফটওয়ার এর মাধ্যমে পিসি বা ল্যাপটপ এ ভাইরাস ধুকতে পারে।
Antivirus Name | Price | Location |
---|---|---|
Kaspersky Antivirus | 600 | Ryans |
Bitdefendar Antivirus | 850 | Ryans |
Panda dome | 600 | Ryans |
Eset Antivirus | 750 | Ryans |
Escan Antivirus | 399 | Ryans |
কোনটি সবচেয়ে ভালো এন্টিভাইরাস
বর্তমানে এন্টিভাইরাস ব্যবহারের কোন বিকল্প নাই,কারন আমাদের ব্যবহারের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কে ভাইরাস থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। এজন্য আমাদেরকেও কম্পিউটার বা ল্যাপটপের জন্য ভালো এন্টিভাইরাস কোনটি সেটা বাছাই করতে হবে। অপরের তালিকা অনুযায়ী যেগুলো এন্টিভাইরাসের নাম বলেছি সব গুলোয় বর্তমানে বেশি ব্যবহিত হয়। এর মধ্যেও কিছু আছে যেগুলো সচরাচর বেশি ব্যবহিত হয়। তার মধ্যে (KASPERSKY ANTIVIRUS) এটা মানুষজন বেশি ব্যবহার করে থাকে।
কোন এন্টিভাইরাস কম্পিটারের গতি কমায় না
বাজারে অনেক ধরনের এন্টিভাইরাস পাওয়া যাই। যেগুলো নিয়ে আমরা ইতঃপূর্বে আলোচনা করেছি কিন্তু এখন কথা হচ্ছে কোনটা ব্যবহার করলে আপনার কম্পিউটারের গতি কমবে না। এবং আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের গতিকে সচল রাখবে। অনেক ব্র্যান্ড বা কোম্পানির এন্টিভাইরাস রয়েছে যেগুলো ব্যবহারে আমাদের পিসি বা ল্যাপটপ অনেক ভাড়ি হয়ে যেতে পারে এবং অনেক সমস্যাও করতে পারে। এজন্য আমাদেরকে সঠিক এন্টিভাইরাস বাছাই করতে হবে যাতে করে আমরা সহজেই আমাদের ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ কে স্মুথলি ব্যবহার করতে পারি।
যেমন (KASPERSKY) এন্টিভাইরাস রয়েছে এটা আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এটার নতুন মডেল যেটা রয়েছে (KASPERSKY STNADARD) এটি বর্তমানে অনেক হালকা আপনার কপিউটারের গতি কমাবে না। এর পরে রয়েছে (ESET) এন্টিভাইরাস যেটা ব্যবহারে আপনার পিসি বা ল্যাপটপ এর গতি কোন ভাবেই কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তার পরে রয়েছে (PANDA DOME) এন্টিভাইরাস এটাও অনেক ভালো এন্টিভাইরাস এটাকেও আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে ব্যবহার করতে পারবেন।
যেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি সবগুলো ভালো মানের এন্টিভাইরাস যেগুলো বাজারে সচরাচর বেশি চলে। এবং ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ এর গতি কমাই না। ভাইরাস থেকে আমাদের ল্যাপটপ বা পিসি কে সুরক্ষিত রাখে। আপনি যদি একজন প্রফেসনাল পিসি বা ল্যাপটপ ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যয় আপনাকে জানতে হবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের জন্য ভালো এন্টিভাইরাস কোনটি এবং কেন এই এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা অতি আবশ্যক।
কিভাবে ল্যাপটপে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করবো
কিভাবে আপনি ল্যাপটপ এ এন্টিভাইরাস ইন্সটল করবেন? তার আগে অবশ্যয় আপনাকে জানতে হবে কোন এন্টিভাইরাস আপনার ল্যাপটপ এর জন্য ভালো হবে। আপনাকে সঠিক এন্টিভাইরাস বাছাই করে আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে ইন্সটল করতে হবে। আপনি যেই ব্র্যান্ড এর এন্টিভাইরাস নিবেন সেটির ওয়েবসাইট থেকে প্রথমে সফটওয়ারটি ইন্সটল করতে হবে এবং ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে ইন্সটল করার পরে আপনার এন্টিভাইরাসের কোডটি বসিয়ে কিছু তথ্য দিয়ে এক্টিভে করতে হবে। আপনি যদি এগুলো ঝামেলা না নিতে চান তাহলে যেখান থেকে এটি ক্রয় করবেন তাদের কে বললে তারা সেটা আপনাকে ইন্সটল করে দিবে।
আরও পড়ুনঃ কম্পিউটারের জন্য ইউপিএসের ব্যবহার ও দাম
সাধারণত এন্টিভাইরসের মেয়াদ থাকে ৩৬৫ দিন। ততদিন আপনার এন্টিভাইরসের কোডটি ভালো ভাবে সংরক্ষন করে রাখুন কারন ১ বছরের আগে আপনি যদি কখনো উইন্ডোজ পরিবর্তন করে থাকেন তাহলে আবার এই এন্টিভাইরাস ইন্সটল করতে। এটি ইন্সটল করার পরে আপনার ল্যাপটপ বা পিসি কে ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখবে। আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল কোন কিছু নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না এজন্য আমাদের উচিত ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা।
এন্টিভাইরাস ব্যবহারের সুবিধা কি কি
এন্টিভাইরাসের অনেক রকম সুবিধা রয়েছে যেগুলো বর্তমান জুগে আমাদের অতিপ্রয়োজন কারন এখন আপনার ডাটা বা আপনার গোপন তথ্য সহজেই যে কেউ হাতিয়ে নিতে পারে। বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ এর এই সময় আমাদের খুবই সতর্ক থাকা উচিত। আপনি যদি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এ এন্টিভাইরাস না ব্যবহার করে থাকেন তাহলে কোন হ্যাকার সহজেই আপনার গোপন ফাইল বা তথ্য নিয়ে নিতে পারে। এজন্য এন্টিভাইরাসের অনেক সুবিধা রয়েছে। আবার ভাইরাসের কারনেও আপনার ফাইল বা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ফ্রি এন্টিভাইরাসের অসুবিধা কি কি
আমাদের দেশে অনেকেই ফ্রি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকে যা অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ কারন এগুলোতে প্রচুর এড আসে এবং অনেক হ্যাকার এই ফ্রি এন্টিভাইরাসের ফাঁদ পেতে বসে থাকে। আর এগুলো বেশি দিন থাকে না ১ মাস মেয়াদি হয়ে থাকে। এগুলো সাধারণ ইউজের জন্য ঠিক আছে আপনি যদি প্রফেসনাল কাজ করেন যেমন গেমিং বা কোন সফটওয়ার মেনেজমেন্ট রেন্ডম কোন কিছু পিসি বা ল্যাপটপে ডাউনলোড করে থাকেন তাহলে অবশ্যয় আপনাকে পেইড এন্টিভাইরাস নিতে হবে কারন ফ্রি গুলোতে অনেক কম ভাইরাস প্রটেকশন থেকে থাকে।
এজন্য আমাদের ফ্রি এন্টিভাইরাস কে ব্যবহার না করাই উত্তম। কিছু দিনের জন্য ব্যবহারের ফলে আমাদের লাভের থেকে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে। বর্তমানে আপডেট উইন্ডোজ গুলোতে উইন্ডোজ ডিফেন্ডার থাকে এজন্য সাধারণ ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হয় না। কিন্তু আপনি যখন প্রফেসনাল লেভেলের কাজ করবেন তখন আপনাকে অবশ্যয় পেইড এন্টিভাইরাস নিতে হবে যার ফলে আপনি আপানার ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ কে ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হবেন।
কেন পেইড এন্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন
পিইড এন্টিভাইরাস আমাদের ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। আপনি কোন সফটওয়ার বা ফাইল ডাউনলোড করেছেন কিন্তু সেটার মধ্যে ভাইরাস থাকার কারনে আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের ফাইল করাপ্টেড হয়ে গেছে তখন আপনি কি করবেন,এই ভাইরাসের মাধ্যমে আপনার যত ডকুমেন্টস রয়েছে সব নাই হয়ে গেল তখন আপনার কেমন লাগবে। হ্যাকাররা বসেই থাকে এমন কিছু পাওয়ার জন্য অনেক স্প্যাম মেসেজ বা এড দিয়ে আমাদের ডকুমেন্টস হাতিয়ে নেই। এগুলো থেকে বাঁচতে আমাদের পেইড এন্টিভাইরাস প্রয়োজন।
বর্তমানে হ্যাকাররা নানা রকম ফাদে ফেলে আমাদের জিমেল বা কোন আইডি হ্যাক নেই। নানা রকম স্প্যাম মেসেজ দিয়ে আবার অনেক সময় কোন থার্ড পার্টি কোন সফটওয়ার দিয়ে আমাদের নানা রকম ফাঁদে ফেলে। অনেক সময় ফ্রি এন্টিভাইরাসে এগুলো প্রতিরোধ করা যাই না এজন্য আমাদের পেইড এন্টিভাইরাস প্রয়োজন। তাই সব সময় পেইড এন্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন আর ফ্রি এন্টিভাইরাস ব্যবহার না করাই ভালো।
একাধিক ডিভাইসে এন্টিভাইরাস ব্যবহারের নিয়ম
আপনার ২ থেকে ৩ ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ থাকলে সে গুলোতে কিভাবে ব্যবহার করবেন। বর্তমানে এক সাথে ৩টা ডিভাইস এ এন্টিভাইরাস চালানোর উপাই রয়েছে। অনেক কোম্পানির এখন কম দামে একটা কোডে ৩টা ডিভাইস চালানোর জন্য ৩ইউজার এন্টিভাইরাস বের করেছে। যেগুলো এক কোডে আপনার ৩টা পিসি বা ল্যাপটপ এ এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে পারবেন। যাদের অনেক গুলো ডিভাইস রয়েছে তারা এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে। আপনার কম দামে একসাথে ৩ ডিভাইসে ব্যবহারের জন্য ৩ইউজার এন্টিভাইরাস নিতে পারেন।

এন্টিভাইরাস ব্যবহার না করলে কি হবে
লেখকের শেষ বক্তব্য
আজকের আলচনার মূল বক্তব্য ছিল কম্পিউটার বা ল্যাপটপের জন্য ভালো এন্টিভাইরাস কোনটি এই সব বিষয়ে আমরা আপনাদের অবগত করেছি। আশা করি আপনাদের পিসি বা ল্যাপটপ এর জন্য এন্টিভাইরাস নির্বাচন করতে কোন সমস্যা হবে না। আমাদের অনেক কিছু পারসোনাল হক বা কাজের ক্ষেত্রে হক অনেক কিছু থাকে আমাদের ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে সেগুলো কে সুরক্ষিত রাখা আমাদের প্রয়োোজন। এজন্য সব চেয়ে ভালো এন্টিভাইরাস আমাদের ব্যবহার করতে হবে।
কম্পিউটার বা ল্যাপটপের জন্য ভালো এন্টিভাইরাস কোনটি এই বিষয় নিয়ে আমরা জেনেছি। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কোনটি সব চেয়ে ভালো হবে। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেল পরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। নিত্যনতুন টিপস পেতে আমাদের ওয়েসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
বাংলা অনলাইন টিপস নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url